বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, প্রবাসী যাত্রীদের হয়রানি করা যাবে না। তারা বিদেশে গিয়ে অনেক কষ্ট করে টাকা আয় করেন দেশের জন্য। বিমানবন্দরে তাদের ভালো সেবা দিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে গিয়ে কষ্ট করে দেশের জন্য টাকা আয় করে নিয়ে আসেন। আর তারা যখন দেশে আসবেন তাদের যেন বিমানবন্দরে ভালো সেবা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের সেবায় যেন তারা গর্ববোধ করেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনালের যাত্রীসেবা ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।


এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস হল, চেক-ইন কাউন্টার, প্রবাসী কল্যাণ ডেক্স ও গ্রিনচ্যানেল পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন প্রতিমন্ত্রী।

ইমিগ্রেশনে অনেক সময় প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হতে হয় কেন প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যাদের সন্দেহজনক মনে হবে তাদেরই যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর যাদের বিনা কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সেটা তো হয়রানির পর্যায়ে চলে যাবে।

তিনি বলেন, আজ সকালে বিমানবন্দরে এসে আমি ইমিগ্রেশনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এবং প্রবাসী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রবাসীরা আমাকে বলেছেন, ইমিগ্রেশনে কোনো সমস্যা হয়নি তাদের। আমি ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে করে রেন্ডম জিজ্ঞাসাবাদ না করা হয়। যাত্রীরা যেন অনুভব করতে পারে ইমিগ্রেশনের লোকজন তাদের সহায়তার জন্য এখানে বসেছেন।
ই-গেটগুলো কবে থেকে পুরোপুরি চালু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-গেটগুলো চালু আছে। শতভাগ চালু করতে আরও সময় লাগবে।

অন-অ্যারাইভাল ভিসার যাত্রীদের বিমানবন্দরে সমস্যায় কেন পড়তে হয় জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন-অ্যারাইভাল ভিসার ক্ষেত্রে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সমস্যা নিরসনে।

পরে প্রতিমন্ত্রী ইমিগ্রেশন থেকে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সামনে গিয়ে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চান। তখন সংশ্লিষ্টরা প্রতিমন্ত্রীকে তাদের সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী তাদের তাদের সেবা আরো উন্নত করার পরামর্শ দেন এবং দিক নির্দেশনা দেন।

এ সময় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।